গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় আহত আবুল কাশেম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গায়েবানা জানাজা ও খাটিয়া মিছিল হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে খাটিয়া মিছিল নিয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশে এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এদিন বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। এর আগে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন আবুল কাশেম (২০)।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে, আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান, কাশেম ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে, আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না, আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, চব্বিশের গণহত্যার পরেও আওয়ামী লীগ হামলা-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। জাতিসংঘের আজকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা নিজে গণহত্যার হুকুম দিয়েছে। হাসিনা দেশে বারবার গণহত্যা ও আয়নাঘরে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে। এতকিছুর পর আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। তাই অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাকশাল কায়েম ও গণতন্ত্রকে নষ্ট করার ইতিহাস। আওয়ামী লীগের ইতিহাস রক্ত ও খুনের ইতিহাস। আমরা বইয়ে পড়েছি, বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা নিজ হাতে জবাই করেছিল। শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ২৪-এর দমনপীড়ন এবং ৫ আগস্ট পরবর্তী আচরণে সেই খুনেরই প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা অতিদ্রুত নিঃশর্তভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও আওয়ামী খুনিদের বিচার চাই।
মন্তব্য করুন