হলকে ছোট করে উসকানিমূলক কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবাসিক দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে শহীদ শামসুল হক হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রথম বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী জড়িয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেসন নামের একটি কোচিং সেন্টারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহের টাউন হল মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পর্বের সময় বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা পরিবেশনা করতে মঞ্চে উঠলে শামসুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে। পরে শামসুল হক হলের শিক্ষার্থীরা মঞ্চে উঠলে একইভাবে বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কোচিং কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত করে শিক্ষার্থীদের হলে ফেরত পাঠায়।
এ ঘটনার জেরে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আব্দুল জব্বার মোড়ে দুই হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। এতে কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে মেসন কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আরাফাত কালবেলাকে বলেন, ওইদিন আমরা পরিস্থিতি মিটমাট করে শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আজকের ঘটনার সাথে মেসনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও হলকেন্দ্রিক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম কালবেলাকে বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমরা উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আমরা চলে আসি। পরের দিন জানতে পারি সেখানে রাতের বেলা হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে। তার সূত্র ধরেই আজকের মারামারি। এর দায় অবশ্যই মেসনকে নিতে হবে। আমরা তদন্ত করে এর বিচার করব। কোচিং সেন্টার ও দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করব।
মন্তব্য করুন