পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। পোষ্যকোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মুখে এ সিদ্ধান্ত নেয় জাবি প্রশাসন।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান এ ঘোষণা দেন। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির জরুরি সভায় পোষ্য কোটায় ভর্তি বাতিল করা হলো। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রদানের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ন্যায্য দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে।
কোটা বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে শিক্ষার্থীরা জানান, কোটাবৈষম্য নিয়ে দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার মতো একটি অযৌক্তিক কোটা থাকতে পারে না। পোষ্য কোটা বাতিল করায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিনন্দন জানাই।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে পোষ্য কোটা সংরক্ষণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান নেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বটতলা থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন