গবেষণার জন্য প্রণোদনা পাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। তবে প্রত্যেকের একটি ভালো মানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, বাইবেল ও গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় নবীনবরণ অনুষ্ঠান।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনীতি থাকবে না। ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো ধরনের রাজনীতিই থাকবে না। তবে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে এবং ক্রান্তিকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী আমরা সবাই মিলে কাজ করব। শিক্ষার্থীরা সচেতন থাকলে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনীতি আমরা গ্রহণ করব না। রাজনীতির সাথে যারাই জড়িত হবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ বিষয়ে কোনো ধরনের শিথিলতা থাকবে না আমাদের।
শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা আর্থিকভাবে অসচ্ছল নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া বৃহৎ পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রায় ২০০-৪০০ শিক্ষার্থীকে প্রজেক্ট ফান্ডিং করব। কিন্তু শর্ত থাকবে এ প্রজেক্ট থেকে প্রত্যেকের একটি ভালো মানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ও সামনে এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে দেশ।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান, সিএসই ক্লাবের দায়িত্ব হস্তান্তর ও আলোচনা সভা হয়েছে। পরে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ইঞ্জি. ড. মো. আমজাদ হোসেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলম হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. নাসিম আদনান, লেকচারার শেখ সালাউদ্দিন কবীর ও আবু রাফে মো. জামিলসহ সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মন্তব্য করুন