জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নে সাম্প্রতিক অগ্রগতির ওপর দুই দিনব্যাপী ‘রিসেন্ট অ্যাডভান্সেস ইন ক্যামিস্ট্রি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ। এর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, রসায়ন বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় রূপান্তরকারী ভূমিকা রাখছে। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, জ্বালানি সংকট ও স্বাস্থ্যসেবার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রসায়ন গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই কনফারেন্স গবেষকদের মধ্যে জ্ঞানবিনিময় ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমীন। তিনি বলেন, এই কনফারেন্স রসায়নের নতুন ধারণা বিনিময়, সমাধাননির্ভর গবেষণা এবং স্মার্ট প্রযুক্তি বিকাশে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও আইসিআরসি ২০১৪-এর অর্গানাইজিং সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন- ওআইসি-কমসটেকের কো-অর্ডিনেটর জেনারেল অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী; বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা এবং ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের পরিচালক সেলিম বারামি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও আইসিআরসি-২০২৪ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে টেকনিক্যাল সেশনের প্রথমে ‘ক্যামিস্ট্রিইনোভেশনস ফর স্মার্ট ফিউচার’ শিরোনামে বক্তব্য দেন দক্ষিণ কোরিয়ার পুশান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ন্যানোএনার্জি, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর জুম কিয়ং।
এ ছাড়া প্লেনারি লেকচার দেবেন পাকিস্তানের ওআইসি-কমসটেকের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ অব লন্ডনের প্রফেসর গ্রেইম হোগার্ফ, মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সাইদুর রহমান এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক ডিজি ড. মোবারক আহাম্মেদ খান।
দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকসহ বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক গবেষক ও শিক্ষক অংশগ্রহণ করছেন।
প্রসঙ্গত, কনফারেন্সটির উদ্দেশ্য হলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের (4IR) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যতের জন্য রাসায়নিক, প্রযুক্তিগত ও পরিবেশগত গবেষণায় সর্বশেষ উদ্ভাবনের বিষয়ে তাদের মতামত এবং ধারণাগুলো শেয়ার করার জন্য বিজ্ঞানী-শিক্ষাবিদদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যাতে তারা একটি স্মার্ট ভবিষ্যতের জন্য রাসায়নিক, প্রযুক্তিগত এবং পরিবেশগত গবেষণার সর্বশেষ উদ্ভাবন সম্পর্কে মতামত এবং ধারণা বিনিময় করতে পারেন।
কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশন ও সমাপনী পর্বের মাধ্যমে শেষ হবে।
মন্তব্য করুন