মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুপক্ষের ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় দুপক্ষ ঢিল মারতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। তবে দুপক্ষের উত্তেজনাময় এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেন্ড ছুড়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সহায়তায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।
এর আগে সন্ধ্যায় অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী পাঁচ দফা দাবিতে সায়েন্স ল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকা, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরে ফেরা মানুষ।
পরে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুনের (শিক্ষা) অসদাচরণে প্রতিবাদে তার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঢাবির ভিসিকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এক ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা।
প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় সড়ক অবরোধ করে রাখার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোড়ে এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ঢাবির প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল রহমান এ ঘোষণা দেন।
মন্তব্য করুন