সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা দ্বারা জবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীকে হেনস্তা লজ্জার বিষয়। যদি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার না হয় তাহলে সেই সন্ত্রাসী কলেজের শিক্ষার্থীদের এবং কলেজ প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। তার জন্য আমরা আজকে এই মানববন্ধন করছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
আরেক শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী ছাত্রদল নেতা দ্বারা রিয়াজুল ভাইকে হেনস্তা করা হয়। এর আগে ছাত্রলীগ এমন দুঃসাহস দেখিয়েছে, এখন অন্য একটি দল দেখানোর চেষ্টা করছে। ৫ আগস্টের পর একটা দল নিজেদের হনু মনে করছে এবং অন্য দলকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। তাদের পরিণতি কী হয়েছে আমাদের মনে হয় একবার ছাত্রদলকে বিবেচনা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দীর ছাত্রদল গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখিয়ে আমাদের জগন্নাথের হৃদয়ে আঘাত করেছে। তারা চাঁদাবাজি করবে আমরা কিছু বলতে পারব না, যদি এমন কিছু মনে করেন তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। শেখ হাসিনার শাসন আমলে একক শাসনের কারণে আমরা স্বাধীনভাবে কিছু বলতে পারিনি। রিয়াজুল ইসলাম ছাত্রশিবিরের আগে জগন্নাথের ছাত্র হিসেবে পরিচিত- তাকে আঘাত করা মানে পুরো জগন্নাথকে আঘাত করা। আমাদের সবার উচিত ঐক্যবদ্ধ থাকা। আমরা রিয়াজুল ইসলামকে হেনস্তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, গতকাল সূত্রাপুর থানায় সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি ও শিবির সেক্রেটারিকে মারতে যায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শাখা শিবির সেক্রেটারির নিকট ক্ষমা চান তিনি। তবে কিছু সময় পরে ছাত্রদল নেতা নিজের ফেইসবুক পেজে লেখেন তিনি কারো কাছে কোনো ক্ষমা চাননি।
মন্তব্য করুন