খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নীতিবহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিন পদ দখল

ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে এনইউবিটি থেকে জহির উদ্দিনের পদত্যাগ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীন। ছবি : কালবেলা
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীন। ছবি : কালবেলা

অবশেষে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (এনইউবিটিকে)-এর অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন অধ্যাপক হয়েও বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানা যায়, খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (এনইউবিটিকে) এ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত ভিসি, প্রোভিসি বা ট্রেজারার নেই। কিন্তু অধ্যাপক ড. এটিএম জহির উদ্দীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিনের পূর্ণকালীন অধ্যাপক হয়েও চুক্তিভিত্তিক ভাবে বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ পদে মোটা অঙ্কের বেতন নিচ্ছিলেন যা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিপন্থি।

জানা যায়, মাত্র ৩০ হাজার টাকা সম্মানির চুক্তি করা হলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাসিক দেড় লক্ষাধিক টাকা বেতন নেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএর অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ এর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে অধ্যাপক জহির দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টি।

জুলাই-আগস্ট এ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি অংশ ছাত্রদের পক্ষে মানববন্ধন করলে জহির উদ্দিন তার বিরোধিতা করে আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এরপর থেকেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তার পদত্যাগের দাবি তোলে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় পদ আঁকড়ে বসে ছিলেন তিনি। তবে বুধবার আন্দোলনের মুখে ভাইস চ্যান্সেলর এর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি এর সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল কবির জানান, স্যারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছিল। তার ধারাবাহিকতায় ছাত্রদের দাবির মুখ তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহালমকে কল দেওয়া হলে তিনি তিনবার রিসিভ করে কথা বলেননি। অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানানো হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুচ্ছ থেকে বের হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

সেঞ্চুরির আক্ষেপ নেই, ছক্কার রেকর্ডে খুশি তামিম

কমেছে এলপিজির দাম

আগ্রাসন প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : শেখ বাবলু

বিএনপি নেতার ‘ফেস্টুন ছিঁড়ে’ দুই ছাত্রদল কর্মী ধরা

ট্রাম্পের শপথের পর ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর হিড়িক

সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

স্কুলের ইট চুরি করলেন সেই আ.লীগ নেতা

যুক্তরাষ্ট্রে জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে প্রকাশনা উৎসব

১০

নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই : ইমতিয়াজ আলম

১১

বগুড়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে জখম, যুবদল নেতা বহিষ্কার

১২

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতে থাকবে পাকিস্তানের নাম

১৩

বিদিশার বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ

১৪

হাসপাতালের উচ্চমূল্যে টেন্ডার পেতে চক্রান্ত, ছড়ানো হচ্ছে অপতথ্য

১৫

ভাতের হোটেলে কাজ করতেন মেডিকেলে চান্স পাওয়া আল আমিন

১৬

কম সুদর্শন স্বামীদের সঙ্গেই নারীরা বেশি সুখী, বলছে গবেষণা

১৭

একযোগে ১২ ডেপুটি জেলারকে বদলি

১৮

সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবির মোস্তাফিজ 

১৯

প্রয়োজনে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে একসঙ্গে নিয়োগ-এমপিভুক্তি : শিক্ষা উপদেষ্টা

২০
X