‘বিপ্লবত্তোর প্রথম বিতর্ক যুদ্ধ-২০২৫’ শিরোনামে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত আন্তঃবিভাগ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইন বিভাগ এবং রানার্সআপ হয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন বিতর্কের ফলাফল ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি নাইমা আক্তার রিতার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি বলেন, আমি এই অনুষ্ঠানের আরেকটা নাম দিতে চাই- শিক্ষার্থীদের সফল আন্দোলনোত্তর বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছাত্ররা যেভাবে যুক্তি দিয়ে কথা বলে বিতর্ক করে- আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হয়, কথা বলতে হয়, সেখানে এই ছাত্ররা থাকলে ভালো হতো।
উপাচার্য আরও বলেন, আজকের এই বিতর্ক আমি খুবই উপভোগ করেছি। আজকের বিতর্কের মোশন ছিল আনুপাতিক হারে নির্বাচন। আমি আশা করি আজকে যারা বিতর্ক করেছে তারা যেন সামনে জাতীয় সংসদে যেতে পারে। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা রাখতে হবে যেখানে যোগ্য যারা তারা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আনুপাতিক হারে সংসদ সদস্য হলে মনে হয় ভালো হতো। আমরা আগে যেমনটা দেখেছি পূর্বে যারা সংসদে যায়, তারা শুধু তাদের নেতার স্তুতি গায়। তাই আমি মনে করি, এই বিতর্ক যেন ভবিষ্যতের সংসদ সদস্য হিসেবে গড়ে তোলে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, একদিকে প্রকাশনা উৎসব, এদিকে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আরেক দিকে পিঠা উৎসব। এ বিশ্ববিদ্যালয়ই আমরা চাই। এ ধরনের পরিবেশ সম্ভব হয়েছে কারণ চেয়ারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কেউ বসা নেই, যারা আছে তারা আমাদেরই ঘরের লোক।
বিতর্কে অংশগ্রহণ করা ২৪ দলের ৭২ বিতার্কিককে আমি আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, কোরআনে আল্লাহ বলছেন, মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে বিতর্ক প্রিয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, এডিসিএল আইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদনান আল-আমিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক স্টাডিজ ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল্লাহ। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন