অতীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পালিয়ে গেছে। ওরা চেয়ারের তোয়ালে পর্যন্ত নিয়ে গেছে। অনেক কষ্ট করে রাতভর কাজ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গতি নিয়ে এসেছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে। চালু করা হবে বাধ্যতামূলক ট্রেড কোর্স।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, চলতি বছর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন হবে। কারিকুলামে পরিবর্তন এনে শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা হবে। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও চালু করা হয়েছে।
বেসরকারি কলেজে গভর্নিং বডি তুলে দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি থেকে জোর লবিং করতে হয়। কিন্তু এটা কেন? কী লাভ গভর্নিং বডিতে থেকে। এসব কারণে গভর্নিং বডির সভাপতি পদ তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। শুধু তাই নয়, কলেজগুলোতে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি রয়েছে। রাজনীতি করতে চাইলে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আকাশ থেকে গুলি করে ছেলেমেয়েদের মারা হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আকাশ থেকে গুলি করে আমাদের ছেলেমেয়েকে মারা হয়েছে। তাদের কী অপরাধ ছিল, তাদের গুলি করে মেরে ফেলতে হবে। ক্ষমতার জন্য, কিন্তু সে ক্ষমতায়ও তারা টিকতে পারল না। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ৩০০ এমপিও পালাল। এমনকি বায়তুল মোকাররমের খতিবও পালিয়েছে। এসব নিয়ে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খানের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম ও গোলাপ মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. খন্দকার আশরাফুল মুনিম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহনাজ ফেরদৌস, সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন জিন বিজ্ঞানী ও ধান গবেষক ড. আবেদ চৌধুরী।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার মো. আব্দুল ওয়াহিদ সারওয়ার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান, কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সাংবাদিক সেলিম আহমেদ ও জাহিদ হাসান ছামাদ।
মানপত্র পাঠ করেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নজমুল হোসেন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সহকারী অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ রায়। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ ‘ফানাই’র মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
মন্তব্য করুন