জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। বুধবার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কাছে কাজ হস্তান্তর হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ের মিটিং শেষে জবি ক্যাম্পাসে বিকেল ৩টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে ইউজিসির সঙ্গে আমরা আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
এদিকে এই সিদ্ধান্ত আসার পর নতুন তিন দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে গত রোববার (১২ জানুয়ারি) তিন দফা আন্দোলনে গণঅনশন শুরু করে জবি শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা, শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা, অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।
মন্তব্য করুন