অ্যাডভান্সমেন্ট অব লাইফ সায়েন্স শীর্ষক কনফারেন্সে ফুড, নিউট্রিশন অ্যান্ড অনুষ্ঠিত নিউট্রাসিউটিকাল বিভাগে পোস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুবাশশির হোসেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত তৃতীয় এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
পোস্টারে মুবাশশির তিনটি বাণিজ্যিক শুঁটকি মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক হলো সেই ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা যা ৫ মিলিমিটার থেকে ০.১ মাইক্রোমিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। বর্তমানে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি বড় কারণ। আমাদের এই কাজ ৩টি বাণিজ্যিক এবং বহুল প্রচলিত তিনটি শুঁটকি মাছ- মলা, চাপিলা এবং চিংড়ির ওপর করা হয়েছে, যা যাত্রাবাড়ী পাইকারি মাছ বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
পোস্টারে তিনি উপস্থাপন করেন, কেজিপ্রতি চিংড়িতে প্রায় ৫৫০টি, চাপিলাতে ৪৯৩টি এবং মলাতে প্রায় ২৫৬টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে, যা FTIR করে নিশ্চিত করা হয়েছে। দেখা গেছে, এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের অধিকাংশই পলিভিনাইল ক্লোরাইড এবং পলিপ্রোপাইলিন। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এরা শরীরের কোষের ক্ষতি করে, বিভিন্ন প্রদাহ তৈরি করে। এর আরও ক্ষতিকর দিক নিয়ে উচ্চতর গবেষণা চলমান।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে মুবাশশির বলেন, আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। এটা আমার করা প্রথম পোস্টার। আর প্রথমবারেই যে বাজিমাত করব সেটা কখনো ভাবিনি। ফুড, নিউট্রিশন অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যাল বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৭টি পোস্টারের মাঝে প্রথম হওয়াটা সত্যিই সৌভাগ্যের।
তিনি আরও বলেন, পোস্টারটি বানাতে আমার অনেক সময় ও পরিশ্রম করতে হয়েছে, তবে আমার সুপারভাইজার প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সহোযোগী অধ্যাপক ডা. রুমানা তাসমিন ম্যাম অনেক সাহায্য করেছেন। আর এই পুরো গবেষণাটির সঙ্গে আমার আরও তিন সহপাঠী জড়িত যারা সমানতালে কাজটি এগিয়ে নিয়েছে।
মন্তব্য করুন