জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান ও স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে অবস্থানের কারণে ৫ আগস্টের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের ৪ শিক্ষককে বয়কট করেন শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষক পুনরায় একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে অবস্থান নেওয়ায় স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অফিস কক্ষে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এর ঘণ্টাখানেক পরে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তাদের মুক্ত করেন।
অভিযুক্ত ও অবরুদ্ধ শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. রহমতুল্লাহ, অধ্যাপক ড. জামিলা আহমেদ চৌধুরী, আজহার উদ্দিন ভুঁইয়া এবং শাহরিমা তানজিম অর্ণি।
এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকদের স্থায়ী বহিষ্কারের ৬টি কারণ সংবলিত স্মারকলিপি উপ-উপাচার্যকে (প্রশাসন) প্রদান করেন তারা। পরে উপ-উপাচার্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে বিষয়টি দেখভাল করার আশ্বাস দিলে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন ওই ৪ শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের দাবির পেছনের কারণগুলো হলো- জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের নেতিবাচক ভূমিকা, ১৬ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নিজ বাসভবনে আশ্রয় দেওয়া, শিক্ষার্থীদের চোর অপবাদ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে দেখে নেওয়ার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করা, গত রমজানে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে অন্য রাজনৈতিক দলের ট্যাগ দিয়ে নিউট্রালাইজ করা এবং আন্দোলন চলাকালীন নীল দলের মিছিলে গিয়ে গণহত্যার সমর্থন করা ইত্যাদি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, উল্লিখিত কারণসহ নানাবিধ অভিযোগে আইন বিভাগের কতিপয় শিক্ষককে বয়কট করেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু গণহত্যাকারী ও স্বৈরাচারের এসব দোসরদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় আমরা আওয়ামী লীগের এ দোসরদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আবেদন জানাচ্ছি।
রুহুল আমিন নামে বিভাগটির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সবার দাবি ফ্যাসিবাদের দালালদের অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে এবং তাদের একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে ডাকায় চেয়ারম্যানকে জবাবদিহি করতে হবে।
মন্তব্য করুন