চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পোষ্য কোটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পোষ্য কোটা বাতিল ও জুলাই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় আমরণ অনশন পালন করার ঘোষণা দেন তারা।
কর্মসূচি পালন করার সময় শিক্ষার্থীরা ‘পোষ্য কোটার ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’; ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’; ‘তরুয়া-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’ এসব স্লোগান দেন। জানা যায়, পোষ্য কোটা বাতিলের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন চবির শিক্ষার্থীরা। সোমবার (০৬ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনায় পোষ্য কোটা ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করে প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন। পাশাপাশি জুলাই বিপ্লবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আরেফিন বলেন, ‘শিক্ষকদের সন্তানদের মেধা কম থাকলে তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারে। জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে কোটা থাকাই অযৌক্তিক। এরপরও পোষ্য কোটা পুনর্বহাল রাখা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।’ আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হাসান সুপ্ত বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের প্রশাসন এখনো কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে পারেনি। তাদের কী একটুও মায়া হয় না! তারা পোষ্য কোটাও বাতিল করেনি। এ কোটা আসলে কার দরকার! শিক্ষকদের নাকি রাজমিস্ত্রীর সন্তানের! পোষ্য কোটা একটি প্রহসনের নাম।’ উল্লেখ্য, সোমবার চবির শহীদ হৃদয় তরুয়া হত্যায় অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদ হোসেনকে প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলেন।
মন্তব্য করুন