ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে আলোচনা না করার এবং দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও হট্টগোল করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় আওয়ামীপন্থিদের সিন্ডিকেটে ডাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েও উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে এই পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
এর আগে, আওয়ামী লীগপন্থি সিন্ডিকেট সদস্যদের প্রতিরোধ করতে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিনেট ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট- ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ফ্যাসিবাদের সিন্ডিকেট- ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ডাকসুর রোডম্যাপ-দিতে হবে দিতে হবে’, ‘টু জিরো টু ফোর- ফ্যাসিবাদ নো মোর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত-আরও দেব রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা যায়, বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানালেও এখনই ডাকসু নিয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত না দেওয়ার দাবি জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এসময় সূর্যসেন হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু উপাচার্যকে বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল এখনো রাজনীতি শুরুই করতে পারেনি। অস্থিতিশীল এক পরিবেশে বিভিন্নজন বিভিন্ন ব্যানারে রাজনীতি করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষের চাপের মুখে অনির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্যদের সভায় এখনই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থিদের প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আজকের সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থিদের রাখা হয়নি। নিয়ম মেনে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থিদের অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক কার্যক্রমে অগ্রগতির জন্য সিন্ডিকেট সভা করতে হচ্ছে বলে তিনি শিক্ষার্থীদের সহায়তা কামনা করেন।
ডাকসু নিয়ে তিনি বলেন, আজকের সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডার মধ্যেই ডাকসু সংক্রান্ত কিছু নেই। ডাকসুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবার সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবার ঐক্যমত না হলেও বৃহত্তর অংশের সমর্থন নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।
মন্তব্য করুন