নানা বিষয়ে ২০২৪ সালে আলোচনায় ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। জুলাই অভ্যুত্থানে জবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, প্রশাসনিক পদে বিরাট রদবদল, শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা, ছাত্রলীগের বিভিন্ন সমালোচিত কর্মকাণ্ড, হল ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলনসহ নানা বিষয় আলোচিত ছিল।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক জবির বহুল আলোচিত ঘটনাসমূহ।
★ জুলাই-আগস্ট আন্দোলন:
বছরের এই দুই মাস ছাত্র জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। এর ব্যতিক্রম ছিল না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের শুরু থেকেই রাজপথ দখলে রাখেন শিক্ষার্থীরা। গুলিবিদ্ধ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত চার শিক্ষার্থী। ১৬ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে রায়সাহেব বাজার অতিক্রম করার সময় পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ গুলি বর্ষণ করে।
এ ছাড়া ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় সংষর্ঘ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন জবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব তামীম। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে গুরুতর আহত হন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ। মাথায় গুলিবিদ্ধ সাজিদ সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান।
★ প্রশাসনিক রদবদল:
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১১ আগস্ট পদত্যাগের ঘোষণা দেন জবির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম। উপাচার্যের সঙ্গে পদত্যাগ করেন প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরপ্রধানরা। পরবর্তীতে ২২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন তৎকালীন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরীও।
এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উপাচার্য চেয়ে টানা আন্দোলন করেন জবির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন। এ ছাড়া সব প্রশাসনিক পদেও আসে পরিবর্তন।
★ জবি শিক্ষার্থী অবন্তীর আত্মহত্যা:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি একজন সহপাঠী এবং একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে মানসিক উৎপীড়নের অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে প্রশাসন অভিযুক্ত সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং সহকারী প্রক্টরকে বরখাস্ত করে। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ তদন্ত কমিটি গঠন করে কিন্তু এখনো তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়নি। শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার দাবি করেন।
★ জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধের নানা অভিযোগ:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং বাকি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন দোকানপাটে নিয়মিত চাঁদাবাজি, খেয়ে টাকা পরিশোধ না করার পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতারা প্রায় ১৫ লাখ টাকারও বেশি বাকি রেখে যান। বিশেষ করে টিএসসি ও ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী বাকি খেয়ে পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে শাখা সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি এবং সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের নাম রয়েছে।
১ জুলাই জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। নিজের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেন বলে খবর প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। জুন মাসে ঈদের আগে চাঁদা না দেওয়ায় সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদকে গালিসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
★ রাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছাত্র সংসদের দাবিতে আন্দোলন:
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের মৌখিক ঘোষণা দেন তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। এ ছাড়া জবিতে ছাত্র সংসদ চালুর দাবিও জানান তারা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের লিখিত কোনো ঘোষণা পরবর্তীতে আসেনি। ছাত্র সংসদ চালুর বিষয়েও এখনো কোনো স্পষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
★ রাষ্ট্রপতির কাছে জবি শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানির অভিযোগ:
জবি শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। মীমের অভিযোগ, ২০২১ সালে যৌন হয়রানি ও বুলিংয়ের শিকার হওয়ার পর উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো বিচার পাননি। বরং অভিযুক্ত শিক্ষকরা তাকে ভয়ভীতি দেখানো, পরীক্ষায় ফেল করানো এবং মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেন।
আবেদনে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং তার পরীক্ষার ফলাফল পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। এর আগে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মীম।
★ গুচ্ছ থেকে বের হওয়া:
এ বছরের আক্টোবরে সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২১ নভেম্বর স্বতন্ত্র ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জবি। এবার পাঁচটি ইউনিটে মোট তিন শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা অনুষদের ই ইউনিটের পরীক্ষা ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সকাল ১১টা ৩০টা পর্যন্ত, বিকেল ২টা ৩০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত, বিকেল ৫টা থেকে বিকেল ৬টা ৩০টা পর্যন্ত মোট তিনটি শিফটে হবে।
★ নতুন ক্যাম্পাস ও হল আন্দোলন:
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কিছুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হল উদ্ধারে সরব হয় জবি শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি হলে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের অনুমতিও পায় জবি।
নভেম্বরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস দ্রুত নির্মাণ ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিতসহ তিন দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেন জবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে জবি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার। পরবর্তীতে ১২ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সেনাবাহিনীর দ্বারা বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা নেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
★ ছাত্রদলের কমিটি ঘিরে অস্থিরতা:
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউন ও রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে ছাত্রদল। তবে বছরের শেষ দিকে (২৪ ডিসেম্বর) পুরোনো কমিটি ভেঙে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী শামসুল আরেফিনকে সদস্যসচিব করে ২৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ছাত্রদলের ঘোষিত এ কমিটিকে 'মাইম্যান, সিন্ডিকেট, ছাত্রলীগ নিয়ে পকেট কমিটি' আখ্যা দিয়ে ক্যম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শাখা ছাত্রদলের একটি অংশ। এতে সংঘাতের আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আইডি কার্ড নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
★ শিবিরের আত্মপ্রকাশ:
শেখা হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মপ্রকাশ করে জবি শাখা ছাত্রশিবির। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবাদ জানানোর মাধ্যমে ১১ অক্টোবর তারা প্রকাশ্যে আসে। ২৫ অক্টোবর (২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সংগঠনটির প্যাডে জবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটিও প্রকাশ করে তারা। ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপিও দেন তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম।
★ হারিয়েছে যাদের:
গত না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জবির শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা, সামিউল খান সামি, অধ্যাপক শিল্পী খানম, আহসান হাবীব তামীম ও ইকরামুল হক সাজিদ। ১৯ জানুয়ারি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান অভিজিৎ হালদার অভি। ১৫ মার্চ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী ও সহপাঠীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। ১৯ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডিজ বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল খান সামি। ২৬ মে বোনম্যারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিল্পী খানম। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে মারা যান তামীম ও সাজিদ।
★শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলনে বিপক্ষে সক্রিয় অবস্থান, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর ছাত্রলীগের পক্ষে কলাম লেখাসহ নানা অভিযোগে ৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সালেহ সেকেন্দারকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
আন্তবিভাগীয় ফুটবল খেলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি (বাস) ভাঙচুরের জেরে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিউল ইসলাম সৈকত ও আবুল হাসনাত হৃদয়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
★শিক্ষকদের আন্দোলন:
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বছরের জুলাইয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। ২৫ থেকে ২৭ জুন অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এর সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। একপর্যায়ে অচলাবস্থা দেখা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৩ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুইদিন আগে এ স্কিম বাতিল করে সরকার।
মন্তব্য করুন