বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদল। একইসঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজের আহ্বায়ক কমিটিকে ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শামসুল আলম হলের সাবেক সভাপতি মো. রুহুল আমিন বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন, ‘যারা রাজপথে থাকবে তারাই পদে থাকবে’ এ বক্তব্যকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আমাদের প্রাণের সংগঠন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের ত্যাগী, নির্যাতিত ও আওয়ামী সরকার কর্তৃক হামলার শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি পকেট কমিটির ঘোষণা করেন।
তারা আরও বলেন, আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের ছাত্র না। সে প্রাইভেট কোর্সের পরীক্ষায় ভর্তি হয়েছিল আর প্রাইভেট কোর্সের পরীক্ষার্থীরা কলেজের ছাত্র না তারা শুধু পরীক্ষা দেয়। ফাহিম ছাত্রলীগের প্রশ্রয়দাতা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখনই কোনো ছাত্রলীগের কর্মীকে ক্যাম্পাসে আটকেছে তখনই সে তার ছোটভাই বলে ছাত্রলীগের সেই কর্মীকে ছাড়িয়ে এনেছে। শহীদ শামসুল আলম হলে যত ছাত্রলীগ ছিল সবাই এখনো তার ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে হলে থাকে। তিনি কবি নজরুল সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের প্রকাশ্য আশ্রয়দাতা। সে এবং সদস্য সচিব ক্যাম্পাসের একটি অংশ দখল করে তাদের গ্যাস ব্যবসায়ের গোডাউন বানিয়েছে।
নেতাকর্মীরা বলেন, সদস্য সচিব নাজমুল হাসান ওয়ান ম্যান আর্মি। তার নিজস্ব কোনো কর্মী নাই। বিভিন্ন বড় প্রোগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু লোকজন নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য অবস্থান করে পরে চলে যায়। ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক মিনিটের জন্যও মাঠে নামেনি। যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ রিপন একজন পেশাজীবী। যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন রাজ কেরানীগঞ্জে জেনারেটর অফিসের ম্যানেজার। তার বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগও আছে। যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন ফরাজি সাবেক ছাত্রনেতা ময়নুল হক শিশিরের ব্যক্তিগত সহকারী।
তারা আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মিছিলগুলোতে মোট ৩৫ জন উপস্থিত ছিল তার মধ্যে ২৬ সদস্যের কমিটিতে মাত্র ৯ জনের নাম আছে। পুলিশ-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ৩০ জন আহত হয়েছে তার মধ্যে এই কমিটিতে নাম আছে মাত্র চারজনের।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন বিতর্কিত এই কমিটি দিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চায় যদি কাউন্সিল করতে হয় তবে কবি নজরুল সরকারি কলেজের সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্য বিলুপ্ত ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট নেতাদের ভোটার করে সম্মেলন করতে হবে।
এ ছাড়াও তারা অবিলম্বে কমিটি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিতর্কিত কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিতর্কিত আহ্বাহক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।
এসময় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম মিঠুন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়সাল ইসলাম, মো. নুরুল আমিন, সাবেক সহ সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিম খলিল এবং শামসুল আলম হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল খান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন