ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘আতশবাজি ও ফানুস নয়, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাই হোক নতুন বছরের আনন্দ উদ্যাপন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সেমিনার থেকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে নববর্ষ উদ্যাপনসহ বিভিন্ন উৎসবে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাবির জীববিজ্ঞান অনুষদ, আরবরিকালচার সেন্টার, এস্টেট অফিস, পরিবেশ সংসদ এবং বেসরকারি সংস্থা গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. নূরজাহান সরকার এবং গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি কর্নেল জাকারিয়া হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, মানুষ হিসেবে দেশ, সমাজ, প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি আমাদের অনেক দায় ও দায়িত্ব রয়েছে। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা প্রায়ই আতশবাজি ও ফানুস ওড়াই। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এর ক্ষতিকর ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি মানবস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে। এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধ কারো একক প্রচেষ্টায় সম্ভব নয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এ ক্ষেত্রে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, নববর্ষ উদ্যাপনে বিভিন্ন উৎসবে ফানুস ওড়ানো, পটকা ফোটানো এবং আতশবাজির কারণে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, রাসায়নিক কন্টামিনেশন, বর্জ্য উৎপাদন এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে বিভিন্ন উৎসব উদ্যাপনের জন্য তারা সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সেমিনার শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক র্যালি বের করা হয়।
মন্তব্য করুন