চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ক্রিয়াশীল সংগঠন। তবে আবেদন ফি কমানোর সুযোগ নেই বলছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ফি কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। গত বছরের খরচ বিবেচনা করে এ বছর ফি কমানো সম্ভব হয়নি। এ টাকার হিসাব জাতির সামনে পেশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ ফি থেকে ৪০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে দিতে হয়। ঢাকা ও রাজশাহীতে পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় সেখানেও বড় অঙ্কের ভর্তুকি লাগে। এ ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি তো আছেই। সবমিলিয়ে ফি কমানো সম্ভব হয়নি। বিসিএস পরীক্ষায় ফি কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিসিএস আর এখানের ভর্তি পরীক্ষা ভিন্ন বিষয়।’
পোষ্য কোটার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, পোষ্য কোটা আমরা নির্দিষ্ট আসন থেকে দিচ্ছি না। কোনো বিভাগে ১০০ আসন থাকলে এ আসনগুলোতে পোষ্য কোটা প্রযোজ্য হবে না। বরং এর বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত হিসেবে ওই বিভাগে ২ বা ৩টা আসন রেখে পোষ্যদের ভর্তি নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ওই বিভাগে ১০২ বা ১০৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
এ ছাড়াও রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পরীক্ষার আবেদন ফি কামানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচন ও নির্মিত হলে আসন বরাদ্দসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন