নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আসন ফাঁকা রেখেই বন্ধ হলো নোবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। গ্রাফিক্স : কালবেলা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। গ্রাফিক্স : কালবেলা

আসন ফাঁকা রেখেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী।

নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নোবিপ্রবিতে মোট আসন সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৮৩টি। যেখানে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৪১৭টি এবং কোটায় ছিল ৬৬টি আসন। সর্বশেষ গত ৮ ডিসেম্বর ৬ষ্ঠ ধাপে ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। যেখানে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৩৩৩ জন এবং কোটায় ৬৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৮২ এবং কোটায় দুটিসহ মোট ৮৪টি আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করেছে নোবিপ্রবি।

শূন্য আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বিভাগে ১৯, সমাজকর্ম বিভাগে ১৩, বাংলা বিভাগে ৯, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে ৬, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে ৫, আইএসএলএম বিভাগে ৪, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ৪, ফিমস বিভাগে ৩, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ৩, অর্থনীতি বিভাগে ৩, পরিসংখ্যান বিভাগে ২, এফটিএনএস বিভাগে ২, ইংরেজি বিভাগে ২, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ২, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ২, বিএমবি বিভাগে ১, ইএসডিএম বিভাগে ১, কৃষি বিভাগে ১, প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ১ এবং এমআইএস বিভাগে ১টি।

শূন্য আসনের বিষয়ে নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী জানান, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের মিটিংয়ের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এক্ষেত্রে ৮৪টি আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মিটিংয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে নোবিপ্রবিতে অনেক আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও আমরা আর শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারছি না। যদিও মিটিংয়ে নোবিপ্রবিসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য আসন পূরণের জন্য বিশেষ মাইগ্রেশন দিয়ে ভর্তির বিষয়ে আমরা প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু অধিকাংশ উপাচার্যের মতামত ছিল গুচ্ছভুক্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য হোক। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন খালি রেখে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের জন্য গুচ্ছ পদ্ধতির জটিল প্রক্রিয়াকে দায়ী করে নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, এ বছর গুচ্ছে থাকার জন্য এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিনটি চিঠি দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়োজনে আমরা গুচ্ছে থাকব। তবে অন্যান্য সমপর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয় যদি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার বিষয়ে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব। গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সেই সক্ষমতা আমাদের আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঐক্য-সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ 

ইয়েমেন থেকে আবারও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পাবনায় সাতসকালে সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ

ভারতে সাত দিনের ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা

কোথায় চলবে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম?

জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য

কুষ্টিয়া চিনিকলের যন্ত্রাংশ অন্য চিনিকলে স্থানান্তরে বাধা, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

বায়ুদূষণে শীর্ষে কলকাতা, ঢাকায় বইছে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস 

চট্টগ্রামে প্রাথমিকের ২৪ শতাংশ বই পৌঁছেছে

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয় সেই বিমান

১০

পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে

১১

পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া ভারতের প্রথম অহিন্দু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

১২

৩২ লাখ টাকার সেতুতে ৭ বছরেও উঠতে পারেনি কেউ

১৩

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বড় নিয়োগ, পদ সংখ্যা ১৮৬

১৪

মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

১৫

টিভিতে আজকের খেলা

১৬

আজকের নামাজের সময়সূচি

১৭

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৮

ইতিহাসের এই দিনে যত স্মরণীয় ঘটনা

১৯

সুনামগঞ্জে নদীতে বালু উত্তোলনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

২০
X