খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের সাবেক শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদকে মারধরের ঘটনায় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে খুলনা মহানগরী বিএনপি। একই সঙ্গে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত দুজন হলেন- খুলনা মহানগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ইয়াসিন আরাফাত ডালিম ও সজল শিকদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা শিক্ষার্থী তানভীরের বাসার পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। সজলের সঙ্গে বাসার ময়লা ফেলা নিয়ে আগে থেকে ঝামেলা ছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর ডালিম ও সজল ভুক্তভোগীর বাসার গেটের সামনে ধূমপান করলে এক পর্যায়ে নিষেধ করে তানভীর। পরে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামিরা তানভীরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।
এক পর্যায়ে সজল ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে ধরে এবং ডালিম পিছন থেকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার পেছনে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করে। পরে তানভীরের মা তাকে বাঁচাতে এলে তার মাকেও এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী তানভীর আহমেদ বলেন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমিসহ আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানাচ্ছি।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ছাত্রদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের মধ্যে হামলাবাজদের কোনো আশ্রয় নেই।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) হাওলাদার সানওয়ার মাসুম কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী তানভীর আহমেদ একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাজ চলমান আছে। খুব দ্রুত আমরা ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন