ঢাকা কলেজের এক ছাত্রের মা বাসের ধাক্কায় আহত হওয়ার ঘটনায় ঠিকানা পরিবহনের তিনটি বাস আটক করেছেন একদল শিক্ষার্থী। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে বাসগুলো আটকানো হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাসগুলো শিক্ষার্থীদের কব্জাতেই রয়েছে।
আহতের ছেলে অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সালেহ জুবায়ের বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর আনুমানিক বিকেল ৫ টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় বাসে উঠতে গেলে ধাক্কা লেগে আমার মা পড়ে যান এবং হাতের ওপর দিয়ে বাসের চাকা ওঠে যায়। এতে মাংস ছিড়ে হাড় বের হয়ে যায়। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এত দিন পরীক্ষাসহ মায়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আজ বাস আটক করেছি এবং আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য যত খরচ লাগে সব বাস মালিক কর্তৃপক্ষকে বহন করার দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী লুৎফুর নাহার বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর নীলক্ষেত মোড়ে বাসে উঠতে গেলে ধাক্কা লেগে আমি পড়ে যাই। এ সময় গাড়ির চাকা আমার ডান হাতের ওপর দিয়ে গেলে আহত হই। চিকিৎসক জানিয়েছেন সুস্থ হতে দুই লাখ টাকার মতো ব্যয় হবে।
দায়িত্বরত নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ওমর বলেন, ‘আমরা তো বাস আটকানোর সময় ছিলাম না। ঠিকানা পরিবহনের লোকজন থানায় গিয়েছিল। পরে আমি নায়েমের গলিতে এসে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলি। শুনলাম, গত ৫ ডিসেম্বর ঠিকানা পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে নীলক্ষেত ক্রসিংয়ে একটি দুঘর্টনায় একজন নারী আহত হয়েছেন। তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন। তার ছেলে এবং ছেলের বন্ধুরা তিনটি বাস আটকানোর পরে তারা বলেছে- তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘ঘটনাটি আগে আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমি জুবায়েরকে বলেছি, আটক হওয়া গাড়িগুলো পুলিশের মাধ্যমে মালিক সমিতিকে বুঝিয়ে দিতে। এসব বিষয়ে আগে কলেজ প্রশাসনকে জানাতে হবে, আমরা ব্যবস্থা নেব।’
মন্তব্য করুন