বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত হলো ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড ২.০। এ আয়োজনে দেশের ৩৫টি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সুযোগ করে দেয়। এবার প্রায় ৭০০ এর অধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে আবেদন করেন।
এই অলিম্পিয়াডকে সফল করতে বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী ইভেন্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মধ্য থেকে দশজনকে শ্রেষ্ঠ ইভেন্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতাটি চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। টেক্সটাইল কেইস প্রতিযোগিতা, টেক্সটাইল কুইজ প্রতিযোগিতা (বহুনির্বাচনি ও ভাইভা), টেক্সটাইল পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং টেক্সটাইল কনটেন্ট রাইটিং। টেক্সটাইল কুইজ প্রতিযোগিতাটি আবার দুটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ছিল। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবং সিনিয়র ক্যাটাগরিতে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা এক বা একাধিক ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার সুযোগ পান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন। সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল প্রকৌশলীবৃন্দ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ক্লাব মডারেটর এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
প্রতিটি বিভাগে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতার প্রমাণ দেন। অলিম্পিয়াডে পোস্টার প্রেজেন্টেশন ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে টিম টুইস্ট, টিম নেক্সাস ও টিম সেফায়াজ স্কোয়াড। কেস কম্পিটিশনে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে বুটেক্সের টিম স্মল কাউন্সিল, ভিভেরে ও সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইবার ফোর্স। কন্টেন্ট রাইটিং কম্পিটিশনে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে বুটেক্সের তাহাসিন প্রীতি, গভ. কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স এর নেহা ও বুটেক্সের রুবায়েত জাহান। কুইজ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র ও জুনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন বুটেক্সের দুইজন শিক্ষার্থী যথাক্রমে আফিয়া ইসলাম সামিরা ও সাদিক হাসান পাবন।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক হোসেন বলেন, বুটেক্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব সাধারণত শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে কাজ করে থাকে। যদিও এই ক্লাবের যাত্রা ২০২৩ সালে, মাত্র এক বছরেই ক্লাবটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল রিলেটেড কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে গেছে। গত বছর আমরা বুটেক্সসহ ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল কলেজ নিয়ে একটি ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড এর আয়োজন করি।
তিনি বলেন, অলিম্পিয়াডে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড ২.০ আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামে ৫টি সেগমেন্ট রাখা হয়েছে। আর সব সেগমেন্টের চূড়ান্ত পর্ব বুটেক্স ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়াও বুটেক্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব শিক্ষার্থীরা কীভাবে তাদের পরবর্তী পেশাগত জীবনে ভালো করতে পারবে সেটা নিয়েও কাজ করে থাকে। বুটেক্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব বিশ্বাস করে এই ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াডটি অন্যান্য অলিম্পিয়াডের মতো ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখবে।
মন্তব্য করুন