‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণিল প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার উদ্যোগে ১৪তম বারের মতো দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, প্রজাপতি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ভিন্নধর্মী মেলা। নানা প্রজাতির বর্ণিল ডানাওয়ালা প্রজাপতি আনন্দ বিলিয়েছে মেলায়। এতে পদচারণা ছিল সব বয়সের মানুষের। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের প্রজাপতির রূপ ধারণের দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে আমাদের পরিবেশ। প্রজাপতি এই পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরাগায়নের মাধ্যমে প্রজাপতি পরিবেশ ও প্রকৃতি এবং বনাঞ্চল রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। পরিবেশের ছোট্ট প্রাণীটিকে ভালোবাসতে হবে। আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০ প্রজাতির প্রজাপতি লক্ষ করা যেত। তবে এ সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমছে। তাই প্রজাপতি রক্ষায় এর বাসযোগ্য পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজাপতি মেলা একটি ভিন্ন ধরনের আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় এ ধরনের উদ্যোগ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
দিনব্যাপী মেলার অন্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- বর্ণাঢ্য র্যালি, প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো ও প্রজাপতির অরিগ্যামি প্যারেড, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী, জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি ওড়ানো, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন।
মন্তব্য করুন