সম্প্রতি বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ভিসা জটিলতায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৪.৩০ টায় অডিটোরিয়াম-২ এ বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, ভিসা জটিলতার বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা নিয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো, যেন দুই দেশের সরকার আলোচনা করে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেকশনের আয়োজনে হাবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত নেপাল, ভুটান, ভারত, সোমালিয়া ও নাইজেরিয়াসহ ৫টি দেশের শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির, ইন্টারন্যাশনাল হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মো. আদনান আল বাচ্চু, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা।
মতবিনিময় সভায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমান প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের জন্য হলের নানামুখী সেবামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে তাদের জন্য ভিসা সহজিকরণ, স্বতন্ত্র ফরেন স্টুডেন্ট হল, স্টাইপেন্ড, ডীনবৃত্তি, হলের ফি কমানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্ল্যা বলেন, তোমাদেরকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পেয়ে আমরা গর্বিত। তোমাদের শিক্ষা ও ব্যক্তিগত জীবন সুন্দর করতে যা যা করা প্রয়োজন, আমি তা করবো। আমি তোমাদের কিছু সমস্যার কথা শুনলাম, এসব বিষয়ে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশি শিক্ষার্থীরা ডীনবৃত্তি পায় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখন থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এই বৃত্তি পাবে। পাশাপাশি ছাত্র হলের (ইন্টারন্যাশনাল) সিট রেন্ট কমানোর বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
এ ছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জব সেক্টরে অবদান রাখার যে সুযোগ রয়েছে তা গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে রাতে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য ইন্টারন্যাশনাল হল পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন