বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিনব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও স্মতিচারণের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এদিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। এরপর জিরো পয়েন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, জারুল তলা প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় কেক কাটা হয়। বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ পর্ব শুরু হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমি আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমরা গত ৫৯ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি। আমরা মানসম্মত লাইব্রেরি, উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র, লেজরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারেনি। তবে আমরা নতুন বাংলাদেশে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিকমানে উন্নিত করতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সে লক্ষ্য গত ৫৯ বছরে বাস্তবায়ন হয়নি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে আমরা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করব। আমরা প্রধান উপদেষ্টার নিকট দাবি জানাচ্ছি, আপনি এক সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এখানে শিক্ষকতাও করেছেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার স্বার্থে আপনি শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত স্বতন্ত্র সড়ক নির্মাণ করে দেন এবং অতিরিক্ত বাজেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে দেন।
চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট এবং শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন