সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালী সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি হলপাড়া ঘুরে ঢাকা কলেজে মূল ফটক দিয়ে মিরপুর সড়ক প্রদক্ষিণ করে নীলক্ষেত মোড় ঘুরে ঢাকা কলেজে এসে সমাপ্ত হয়।
এ সময় তারা ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলে না, সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ট্রেনে হামলা কেন? প্রসাশন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাত কলেজ নিয়ে সুষ্ঠু আন্দোলন করছি। কিন্তু তিতুমীর সরকারি কলেজের কতিপয় শিক্ষার্থীরা চলন্ত ট্রেনে হামলা চালিয়েছে, ফলে শিশুসহ অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা ঢাকা কলেজসহ বাকি ছয় কলেজের শিক্ষার্থীরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ঢাকা কলেজের আরেক শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, সরকার চাইলে একটা না ১০টা বিশ্ববিদ্যালয় করুক, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও জানমালের ওপর আঘাত করিনি। কিন্তু আজ তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে চলন্ত ট্রেনে হামলা চালিয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলে দিতে চাই তিতুমীর কলেজের এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে বাকি ছয় কলেজের কোনো সম্পর্ক নেই। তিতুমীর আলাদাভাবে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। কিন্তু নিরীহ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কখনো সমর্থন করে না। এর আগে, বেলা ১১টার দিকে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেন। মহাখালী ওভারব্রিজের নিচে অবস্থান নেওয়ার কারণে সড়কের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচলও। পরে ধীরগতিতে একটি ট্রেন আসলে তা আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভরত কয়েকজন ট্রেনটিতে ঢিল ছুড়লে শিশুসহ কয়েকজন আহত হন।
মন্তব্য করুন