অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুরোপুরি যখন লক্ষ্যে পৌঁছে তখন সমাজতন্ত্রের বাস্তবায়ন হয়। পুরোপুরি গণতন্ত্র তখনই হবে যখন দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, মাওলানা ভাসানীর তিনকাল; ভারত, পাকিস্তান ও আসাম। এর মধ্যে তার জন্য আসাম ছিল কঠিন জীবন। কারণ তিনি আসামে লাইন প্রথাবিরোধী, বাঙ্গাল-খেদা ও আসাম-বাংলা সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় পার করেছেন।
মাওলানা ভাসানী পা থেকে মাথা পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ছিলেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ ভাসানীকে বলেছেন রাজনীতিবিদ, কেউ বলেছেন সমাজতন্ত্রবিদ, আবার কেউ বলেছেন ধর্মীয় নেতা বা পীর। যেহেতু ইসলামে সবকিছুই আছে তাই তিনি ইসলামি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
সমাজে এখন ব্যাপক কর্মসংকট। লাখ লাখ যুবক শিক্ষা উপযোগী কাজ পাচ্ছে না বলে অভিমত সলিমুল্লাহ খানের। এ অধ্যাপক বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র আমাদের দেশে নেই। গণতন্ত্র পুরোপুরি যখন লক্ষ্যে পৌঁছে তখন সমাজতন্ত্রের বাস্তবায়ন হয়। পুরোপুরি গণতন্ত্র তখনই হবে যখন দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী স্টাডিজ কোর্স শিক্ষক সৈয়দ ইরফানুল বারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ ওয়াহিদ।
সভায় মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মহিউদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরজাহান খাতুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান।
এ সময় অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান মাওলানা ভাসানীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন