জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে আবারও ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হবে। আগামী বছর থেকে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেন, সামনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এক ধরনের সংস্কার আনতে যাচ্ছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আমরা এ ধারণাগুলো থেকে বের হওয়া চেষ্টা করছি। আমাদের যে সিলেবাস রয়েছে, সে সিলেবাস কারিকুলাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক যে টিম রয়েছে তাদের সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার করার চেষ্টা করছি। আমরা ২০২৫ সাল পরীক্ষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। পেছনের যে সমস্ত পরীক্ষা রয়েছে সেগুলো যদি আমরা আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে নিতে পারি, তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ দূর করতে পারব।
উপাচার্য বলেন, আমরা এমন সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম যখন সমস্ত দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো এলোমেলো অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের ভেতরে আনার জন্য আমরা গত দুই মাসে আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সদস্য দিয়েছি। সারা দেশের কলেজগুলো মোটামুটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে ও বিসিকের পরিচালক ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাছানাত আলী, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই ছিদ্দিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
পরে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ বেতগাড়ি মীর শাহে আলম কারিগরি কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন এবং কলেজ চত্বরে ফলজ গাছ লাগান।
মন্তব্য করুন