শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ মঞ্চে অতিথি ও আয়োজকরা। ছবি : কালবেলা
বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ মঞ্চে অতিথি ও আয়োজকরা। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিনি সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপের আয়োজন করে ‘জুলাই স্মৃতি পরিষদ’ নামে আত্মপ্রকাশ করা নতুন একটি সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি।

সংলাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও তা পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সংলাপের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল— একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া উচিত, তা পরিচালনার মূলনীতিগুলো কী হওয়া উচিত এবং বাকৃবি বর্তমানে এসব মূলনীতির কতটুকু মান্য করছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটসমূহ এবং তার সমাধান নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।

সংলাপে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক উম্মে ফারহানা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আলম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

সংলাপে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক উম্মে ফারহানা বলেন, আমরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আসবে। শুধু একটি চাকরির আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ অপচয় করা অনুচিত। শিক্ষকদের শিক্ষাদানে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বস্তুগত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু মেধাতালিকাই নয়, বিশেষ গুণাবলিও বিবেচনায় আনা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গঠনমূলক সমালোচনার স্থান, যেখানে সমালোচকের পাশে বসেই আলোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি মূল স্তম্ভ হলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারের কর্তৃত্ব থাকুক, কারণ এটি লেজুরবৃত্তি সৃষ্টি করে। গবেষণা এবং কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। শিক্ষকদের নিয়োগে সততা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

সংলাপ শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় ‘জুলাই স্মৃতি পরিষদ’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। জায়াদ হাসান ওয়ালিদকে আহ্বায়ক এবং পুষ্পিতা ভট্টাচার্যকে সদস্য সচিব করে মোট ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গ্রিল কেটে সাংবাদিকের বাসায় চুরি

মৌলভীবাজারে বিএনপির ৭ উপজেলা ও পৌর কমিটি বিলুপ্ত

‘বঙ্গবন্ধু টানেলে যেসব সুফল ভোগ করার কথা, তার কিছুই হয়নি’

ইংল্যান্ডের জয়, ইসরায়েলে থমকাল ফ্রান্স

প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে রাখছেন কাবরেরা

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাই গ্রেপ্তার

ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে প্রফেশনাল মাস্টার্সের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

‘দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই’

বিএনপির সভায় যাওয়ার পথে বোমা হামলায় আহত প্রবাসীর মৃত্যু

ইঞ্জিনিয়ার মানস মিত্রের মৃত্যুতে ঐক্য পরিষদের শোক

১০

আখাউড়ায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ

১১

ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না : লায়ন ফারুক 

১২

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পটভূমিতে ‘শরীর ও মানচিত্র’ প্রদর্শনী  

১৩

তওবা করে মাদক ছাড়ার শপথ নিলেন তারা

১৪

বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

১৫

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে : সাকি

১৬

ছায়ানটের শ্রোতার আসরে রাগসঙ্গীত

১৭

ভেঙে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সব কমিটি

১৮

বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনো তৎপর আ.লীগ : অ্যাডভোকেট সালাম

১৯

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু

২০
X