উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে দুজন করে চারজন উপদেষ্টা নিয়োগ এবং বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারে না রাখাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে উত্তরবঙ্গের সাধারণ ছাত্র-জনতা।
রবিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের টিসার্চ লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ৩ দফা দাবিগুলো হলো- সুষম উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে দুজন করে চারজন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে; বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অরবর্তী সরকারে রাখা যাবে না এবং পলিসি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতিক মোজাহিদ বলেন, রংপুর বিভাগে ১৬টি জেলার শিক্ষার্থী হিসাব করলে প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীই আমাদের রংপুর তথা উত্তরবঙ্গের কিন্তু এটা আমদের জন্য হতাশার যে মন্ত্রী পরিষদে আমরা ১ শতাংশ অংশগ্রহণ ও নিশ্চিত করতে পারিনি, এটা আমাদের জন্য আফসোসের বিষয়। আমাদেরকে আন্দোলন কেন করতে হবে উপদেষ্টার জন্য? কেন আমাদেরকে রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়ে বলতে হবে উপদেষ্টা দেন? হয়তো কেউ বলতে পারে আমরা কি তাহলে আন্দোলনের স্টেকহোলডার হিসেবে কোটা চাচ্ছি? না আমরা কোটা চাচ্ছি না,আমরা সাম্যের কথা বলতে এসেছি,আমরা আমাদের সাথে হওয়া বৈষম্যের কথা বলতে এসেছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, এই বিপ্লবে উত্তরবঙ্গের মানুষ তাদের জীবন বাজি রেখে এই দেশকে ২য় স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন এই আন্দোলনে উত্তরবঙ্গ থেকে প্রথম শহীদ আবু সাইদ। তার জীবনের বিনিময়ে এই আন্দোলন ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনার পতনে রূপ নেয়।
আরেক সমন্বয়ক আবু সাইদ লিওন বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে চারজন যোগ্য মানুষ খুঁজে বের করেন। যদি আপনারা না পারেন তাহলে আমাদের বলেন আমরা খুঁজে দিব।
সহসমন্বয়ক আশিকুর রহমান জিম বলেন, আবু সাইদের রক্তের ওপর দিয়ে যে-দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে সেই দেশে নতুন করে কেন বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা অতিদ্রুত উত্তরের জনপদ থেকে উপদেষ্টা দেখতে চাই।
মন্তব্য করুন