বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাউবি আইন, ১৯৯২ এর ধারা ১৫(১) অনুসারে অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীমকে এ নিয়োগ দেওয়া হল। ট্রেজারার পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগ দেওয়ার দিন থেকে চার বছর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য পাবেন। বিধি-অনুযায়ী তিনি পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
আবুল হাসনাত মোহা. শামীম ১৯৭৬ সালের ১৫ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম মনিমুল হক এবং মা মোসা. সামসুন্নাহার বেগম। উপজেলার মনাকষা হুমায়ুন রেজা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে এসএসসি এবং রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে এইচএসসি পর্যায়ে উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে।
আবুল হাসনাত ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ১৯৯৮ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জীবন শেষ করে ড. শামীম শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হন। শিক্ষা কমিশন-২০০৩ এ গবেষণা সহকারী হিসেবে বেশ প্রশংসিত হন তিনি। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এর কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন অনুষদে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি জাপান সরকারের মনবুশো বৃত্তির অধীনে ওকাইয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বাউবিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল ও পুস্তকে তার ৪০টির অধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও ৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে। ভেষজ উদ্ভিদ ও মাটির স্ট্রেপটোমাইসিস প্রজাতি থেকে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক এবং কীটনাশকের অনুসন্ধান নিয়ে তার দুর্লভ গবেষণা কর্ম রয়েছে। ড. আবুল হাসনাতের রচিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ‘কৃষিশিক্ষা’ প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র বই দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজে পড়ানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন