বিতর্ক ও সমালোচনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরই বিবেচনা এবং নাতি/নাতনি বিবেচনা না করার সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট 'রিভিউ কমিটি'।
এছাড়া নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটায় আসন পূরণ না হলে মূল মেধা তালিকার ক্রমানুযায়ী শূন্য আসন পূরণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রিভিউ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ৬ ধরনের কোটায় ভর্তি হতে পারেন শিক্ষার্থীরা। তবে এবার কোটা আন্দোলনে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা কোটা নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। সে অনুযায়ী উপাচার্যের অনুমোদন ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ওয়ার্ড কোটা ও খেলোয়াড় কোটা সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিনকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের এই রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাবিতে বর্তমানে প্রচলিত কোটাগুলো হলো- ওয়ার্ড বা পোষ্য কোটা, উপজাতি বা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং খেলোয়াড় কোটা। এছাড়া হিজড়া সম্প্রদায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বিশেষ বিবেচনা প্রাপ্য হন। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সবচেয়ে বেশি ৫ শতাংশ, পোষ্য এবং খেলোয়াড় কোটায় নির্দিষ্ট নেই। বাকিগুলোতে ১ শতাংশ কোটা রয়েছে। যারা শুধুমাত্র পাশ করলেই ভর্তির সুযোগ পান।
এদিকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত রিভিউ কমিটির সভার বিবরনীতে বলা হয়, গত ২১/১০/২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভা এবং ২৭/১০/২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির কোটাসমূহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ওয়ার্ড কোটা ও খেলোয়াড় কোটায় সংযোজন ও সংশোধনের জন্য গঠিত রিভিউ কমিটির ০৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রথম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সেগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরই বিবেচনা করার সুপারিশ এবং এই কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনি বিবেচনা না করার সুপারিশ করা হয়; বিগত বছরগুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী যে কোন নির্ধারিত কোটায় আসন পূরণ না হলে মূল মেধা তালিকার ক্রমানুযায়ী শূণ্য আসন পূরণ করার সুপারিশ করা হয় এবং সাধারণ ভর্তি কমিটির ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের সভার আলোচ্যসূচী ৫ এর সিদ্ধান্তের আলোকে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী এই সুপারিশসমূহ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ হতেই কার্যকর করা এবং তা কার্যকরকল্পে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের সুপারিশ করা হয়।
মন্তব্য করুন