সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শুরু হচ্ছে ২০২৩-২৪ সেশনের প্রথম বর্ষের ক্লাস। তবে ক্লাস শুরু হলেও এখনো ফাঁকা আছে ৮০টি আসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি বিভাগের মধ্যে ২৩টি বিভাগে সিট এখনো পূর্ণ হয়নি। যেখানে নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৫টি, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে ২টি, বাংলা বিভাগে ৪টি, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ৩টি, ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স বিভাগে ১টি, রসায়ন বিভাগে ৩টি, অর্থনীতি বিভাগে ৫টি, ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১টি, ইংরেজি বিভাগে ১টি, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ইনভাইরনমেন্ট সায়েন্স বিভাগে ৪টি, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগে ১টি, জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট বিভাগে ৮টি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড পলিমার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪টি, গণিত বিভাগে ৫টি, ওশোনোগ্রাফী বিভাগে ১টি, লোক প্রসাশন বিভাগে ৪টি, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ৬টি, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩টি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগে ২টি, সমাজ কর্ম বিভাগে ৩টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৫টি ও পরিসংখ্যান বিভাগে ৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
এদিকে রোববার (৩ নভেম্বর) প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. তাহমিনা ইসলামের সঞ্চালনায় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজা সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চোধুরী।
অন্যদিকে কৃষিগুচ্ছের প্রথম ধাপের ভর্তি শেষে খালি আসনগুলো পূর্ণ করতে মেরিট অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ডাকা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অধীনে থাকায় আসন ফাঁকা আছে এমন মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, শাবিপ্রবি আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিলে এ সংকট দ্রুত কেটে যাবে। ঢাবি ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আগের জায়গায় চলে আসবে। গুচ্ছের অধীনে থাকায় বর্তমানে শাবি স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাগব করতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করলেও কর্তৃপক্ষ এ সিস্টেমে সফল হতে পারেনি। যাতায়াত বা কোনো সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে বিভাগীয় শহরগুলোতে শাবিপ্রবির পরীক্ষার আয়োজন করতে পারে, যেমনটা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করছে।
মন্তব্য করুন