বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে মারধরে তদন্ত করে সুপারিশ প্রদানের জন্যে ৫ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর রাতে শাহজালাল হলে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সভাপতি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান।
এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছে কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং সহকারী প্রক্টর ড. কাজী ফরহাদ কাদির। সদস্য হিসেবে রয়েছে সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল আলম, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুর রহমান এবং ভাষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আরিফ খান পাঠান।
তদন্ত কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৩০ অক্টোবর একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠনের দিনেই আমরা প্রথম মিটিং করি। আজ ৩ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সাথে আবার মিটিং করবো। আমরা দ্রুত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম কালবেলাকে বলেন, আমরা উভয় পক্ষের আবেদন পত্রটি হাতে পেয়েছি। উভয় পক্ষ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চেয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী অনুপ পাল, তাকে মারধর এবং সংখ্যালঘু ট্যাগ দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে ৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর হলেন ফাইম-উল-ইসলাম, সাইফুল ইসলাম পলাশ, সানজান ইসলাম মুন্না, জাকারিয়া সাঈদ। তারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী বলেও উল্লেখ করেন। তবে অভিযুক্তরা ঘটনাটি মিথ্যা ও ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর জন্য করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন এবং বলেন অনুপ নিজেই ছাত্রলীগ করত। পরে এসব শিক্ষার্থীরা মিথ্যা দোষারোপের মাধ্যমে মানহানী ও হেনস্তা হওয়ার বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আবেদন করেন।
মন্তব্য করুন