রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১০ মাসেও রেজাল্ট হয়নি রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের, কক্ষে তালা

রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সভাপতির ও অফিস কক্ষে শিক্ষার্থীদের তালা। ছবি : কালবেলা
রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সভাপতির ও অফিস কক্ষে শিক্ষার্থীদের তালা। ছবি : কালবেলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীর। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা দেন তিনজন শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা সংহতি জানিয়ে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরও ফলা প্রকাশ করা হয়নি। বারবার ফল প্রকাশের দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছে। তবে এতে কোনো লাভ হয়নি। দশ মাস আগে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করলেও আমাদের পরিচয় এখনো স্নাতক পাস। ফলে ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে এবং চাকরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আবেদন করতে পারছেন না। এতে অনেকেই হতাশায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একজন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার কাছে সব ধরনের নথিপত্র আছে। কিন্তু ওই শিক্ষক বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন না। ফলাফল আটকে থাকার পেছনে বিভাগ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এখানে ব্যক্তি শিক্ষক বড় হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্তও এগোচ্ছে না। এজন্য ফলাফলের কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। কোনো উপায় না পেয়ে আজ আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা মালিহা মাহফুজ বলেন, আমাদের গত বছরের নভেম্বর মাসে মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়েছিল। এরপর দশ মাস ধরে আমাদের ফলাফল আটকে আছে। আমাদের ব্যাচের অনেক চাকরিপ্রত্যাশী ফলাফলের জন্য কোথাও আবেদন করতে পারছেন না। যারা পরিবারের একমাত্র ভরসা তারা হতাশায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে বারবার দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল গণমাধ্যমকে বলেন, একজন শিক্ষককে বারবার নম্বরপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি নম্বরপত্র জমা দেয়নি। এজন্য ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। তবে তিনি গতকাল নম্বরপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু সেটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে সমাধানের আমরা বিভাগের শিক্ষকরা এসেছি। উপাচার্য বাইরে আছেন। তিনি এলে এ ব্যাপারে কথা বলব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন’

‘ফুল টাইম’ প্রশাসক পাচ্ছে সিটি করপোরেশন

রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ ৪ বছর হওয়া উচিত : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তারের খবরে শ্রীমঙ্গলে আনন্দ মিছিল

রাজবাড়ীতে বিএনপি অফিস ভাঙচুর

ডি-৮ সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পেলেন ড. ইউনূস

জাবিতে শিবিরবিরোধী মিছিলকারীদের শিবিরের অভিনন্দন!

হাসপাতালের সামনে চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেন অজ্ঞাত ব্যক্তি

৩০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন কং-রে

সিন্ডিকেট ভাঙতে বরিশালে ন্যায্যমূল্যের দোকান

১০

১৭ বছর শিকলবন্দি হোসেন আলী, তদন্তে মানবাধিকার কমিশন 

১১

চট্টগ্রামে জুস ফ্যাক্টরিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে

১২

বুড়িগঙ্গা দূষণে ৪০ শতাংশ দায়ী ২৫১ পয়োনিষ্কাশন লাইন

১৩

মিরপুরে সাকিবের খেলতে না পারা নিয়ে বিসিবি সভাপতির মন্তব্য

১৪

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে কোইকা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

১৫

এক পরিবর্তন নিয়ে সাফের ফাইনালে নামছে বাংলাদেশ

১৬

চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনেও প্রোটিয়া দাপট, চাপে বাংলাদেশ

১৭

সবার জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিতের দাবি

১৮

সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি মাসুদ সাঈদীর

১৯

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর আহ্বান ছাত্রশিবিরের

২০
X