ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি ধরে রাখতে ঢাকা কলেজের দেওয়ালে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিতি আঁকে শিক্ষার্থীরা। এবার রাতের আঁধারে সেই গ্রাফিতি মুছে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা কলেজের চারপাশে ঘুরে দেখা যায়, নায়েমের গলির মাথায় ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’ শিরোনামে গ্রাফিতিটি লাল ও সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাতের আঁধারে এসে খুনি হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার পরিকল্পনা করছে। অসংখ্য শিক্ষার্থী আন্দোলনে শহীদ হলেও ছাত্রলীগ চায় হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসুক।
এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী নাহিদ হাসান নাইম বলেন, রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। বেশ কয়েকবার নায়েমের গলি ঘুরে দেখেছি সরাসরি কাউকে গ্রাফিতি মুছে ফেলতে দেখিনি। তবে আমি ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকলে ৪-৫টি মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে দেখি। তারা কি করেছে না করছে সেটা আমি জানি না।
এ বিষয়ে গ্রাফিতি অঙ্কনের পৃষ্ঠপোষক ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, গত ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক স্বাধীনতাকে স্মরণ করে রাখতে দেশব্যাপী গ্রাফিতি অঙ্কনের কর্মসূচি পালন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা কলেজেও আমরা এ কাজ করি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী ৫ আগস্টের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে এগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আন্দোলনের সমন্বয়ক মুঈনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বারবার শিক্ষকদের বলার পরও তারা ক্যাম্পাসে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগায়নি। ছাত্রলীগকে ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কমিটি গঠন করতে বললেও কলেজ প্রশাসন সাড়া দেননি। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মব জাস্টিস হলে এর দায়ভার কে নিবে? এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানা পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস কালবেলাকে বলেন, শুনেছি রাতের আঁধারে কারা গ্রাফিতি মুছে ফেলেছে। আগামীকাল আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিব। সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় সিসিটিভি থাকলেও কাজ করে না, সেটার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।
মন্তব্য করুন