বাংলার কৃষক আন্দোলনের অগ্রদূত শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রদল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি এবং ববি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আরিফ হোসাইন শান্তর উদ্যোগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জান্নাতুল নওরিন উর্মি বলেন, একজন ছাত্রনেতার জন্য শেরে বাংলা বা বাংলার বাঘ সাহসের অনুপ্রেরণা। সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে, তাদের দুঃখ-দুর্দশায় জীবনভর তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাঙালি মুসলিমরা শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে ছিল। এ সময় শেরে বাংলাই সরব হয়ে ওঠেন, রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কৃষকদের কথা চিন্তা করে, কৃষকের দুঃখ মোচনে ঋণ সালিশি আইনসহ কয়েকটি আইন পাস করেন। যার ফলে কৃষকরা সুদখোর মহাজনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হারানো জমিও ফেরত পান। মহান নেতার জন্মদিনে ছাত্রদলের এই আয়োজন।
আয়োজন সম্পর্কে ছাত্রদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আরিফ হোসাইন শান্ত বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন ব্রিটিশ ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ও জননেতা। রাজনীতি ও সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি, ঋণমুক্তির পাশাপাশি জমির অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। ১৯৩৭ সালে শেরে বাংলা কৃষকদের অধিকার রক্ষার জন্য ‘কৃষক প্রজা পার্টি’ গঠন করেন। এই পার্টি জমিদারের দ্বারা নিপীড়িত কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করত।
কর্মসূচিতে আজমাইন সাকিব, মাহমুদ ইমরান, আব্দুল্লা নুর কাফি, জিহাদুল ইসলাম, রিফাত মাহমুদ, সাজ্জাত হোসেন, হাবিবুর রহমান, নুরুজ্জামান মিরাজ, সাব্বির হোসাইন আলবী, নাইমুল ইসলাম নোমান, মাসুম বিল্লাহ, মো. রাকিব হোসেন, মো. সিফাত উল্লাহ, জাহিদুল ইসলাম, মো. ইমন, মো. নাইম হোসেন, মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর তৎকালীন বরিশালের (বর্তমানে ঝালকাঠি) রাজাপুরের মিঞাবাড়িতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্ম। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। সাধারণ মানুষের কাছে ‘হক সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন শেরে বাংলা।
রাজনৈতিক জীবনেও সাফল্য লাভ করেছেন বাংলা এ কে ফজলুল হক। তারমধ্যে কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬-১৯৫৮) অন্যতম। এরমধ্যে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ তিনি লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন; যেটি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তান জন্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মন্তব্য করুন