আওয়ামী জোটের লগি-বইঠার তাণ্ডব ও হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ফ্যাসিবাদের বীজ প্রোথিত হয়। ওইদিন শহীদ করে লাশের ওপর দানব নৃত্য ইতিহাসের যাবতীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে সাদিক কায়েম বলেন, সেদিন শহীদ মুজাহিদ, শহীদ শিপন, শহীদ হাবিবের মতো তাজা প্রাণগুলো শাহাদাতের অন্তিম স্বাদ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে তাদের এই আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়- যুগ যুগ ধরে সজীব থাকবে আমাদের মননে ও লাননে।
তিনি আরও বলেন, সময়ের পালাবদলে তাদের সিলসিলাদের ত্যাগের বদৌলতে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। ২৮ অক্টোবর বৃথা যায়নি, জসিমদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। বাংলাদেশের পথপরিচায়কে শহীদদের নামগুলো আমাদের কিছুতেই ভুলে গেলে চলবে না। নতুন অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় সবার মধ্যে চিরঞ্জীব থাকুক।
যারা মানুষ হত্যা করে উল্লাসনৃত্য করে তারা কখনোই মানবতার কাতারে পড়ে না। যারা শাপলা চত্বরে নির্বিচারে গণহত্যা চালায় তারা কখনো গণতান্ত্রিক হতে পারে না। যারা জুলাইয়ে হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করে তাদের দ্বারা সুস্থ ধারার রাজনীতি অলীক! যাদের একমাত্র লক্ষ্যই থাকে গদি কামড়ে থাকা।
গণহত্যা চালিয়ে রাজনীতির ময়দানে তাদের দেখতে চাওয়া আটাশ থেকে ছত্রিশ পর্যন্ত লাখ মজলুম, শহীদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেইনসাফি করা। আমরা তা আর হতে দিব না ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন