হাতে লাঠি, মাথায় কালো কাপড়। পরনে হাফ হাতা সাদা গেঞ্জি ও কালো ট্রাউজার। এভাবেই রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে এক যুবক রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লাসে ঢুকে পড়েন। লাঠি দিয়ে মেঝেতে বার বার আঘাত করে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি এনামুল হাসান বলেন, আমরা কলেজে গিয়ে ওই যুবককে পাইনি। সাবেক এই শিক্ষার্থী মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে শুনেছি।
লাঠি নিয়ে ক্লাসরুমে প্রবেশের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, লাঠি হাতে এই যুবক হঠাৎ ক্লাসরুমে প্রবেশ করেন। তখন লেকচারার ও শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে উপস্থিত ছিলেন। চিৎকার করে কিছু একটা বলতে শিক্ষার্থীদের মাঝে চলে যান। লাঠি দিয়ে মেঝেতে বারবার আঘাত করেন। তার এই চিৎকার ও আচরণ দেখে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে যায়। এক পর্যায়ে লাঠি হাতেই ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে যান এই যুবকও।
ঘটনার পর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। র্যাব সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লেকচার থিয়েটারের দোতলায় ওই যুবক হাতে লাঠি নিয়ে ঢুকেছিল। তাকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে মনে হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবকে জানিয়েছি। তারা কলেজে পৌঁছার আগেই সে চলে গেছে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তাই সোমবার একজন পুলিশ কর্মকর্তা কলেজে এসে বিশদভাবে তদন্ত করবে।
এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া এক সাধারণ বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারিতে হঠাৎ করে মানসিক ভারসাম্যহীন এক লোক লাঠি নিয়ে গ্যালারিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, গ্যালারিসহ কলেজ প্রাঙ্গণের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি। আর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অরাজনৈতিক পরিবেশকে কলুষিত করার প্রয়াসে জড়িত পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের প্রোপাগাণ্ডাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
মন্তব্য করুন