চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহারের সুযোগ পেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এতে করে দুর্যোগ ও পরিবেশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত দেখছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আর্থ অবজারভেশন সিস্টেম এবং ডেটা সেন্টারের কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক অনুষ্ঠানে এ সহযোগিতা ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জবির রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, এই রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট ডেটা সহযোগিতা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রমকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ করবে। চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাথে এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা স্যাটেলাইট ডেটার উন্নত ব্যবহারের সুযোগ পাব, যা দুর্যোগ ও পরিবেশগত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও একটি উদাহরণ স্থাপন করবে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আর্থ এন্ড লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন এবং চায়না একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ড. ইউ ওয়েনইয়াং বক্তব্য রাখেন।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষকরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষার্থীরা এখন থেকে বাংলাদেশের যে-কোনো স্থানের জিএফ ১-৭ স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এতে পরিবেশগত পরিবর্তন, ভূমি ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নগর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক গবেষণা পরিচালনায় সহায়ক হবে।
এ ছাড়া এই রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে গবেষকরা উন্নতমানের ভূ-তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এতে করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বনাঞ্চল সংরক্ষণ এবং নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া গবেষকরা স্থানিক বিশ্লেষণ এবং মানচিত্র তৈরির ক্ষেত্রে আরও উন্নত ও নির্ভুল তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে। জবি থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের পক্ষে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, ড. রিফফাত মাহমুদ, ড. আব্দুল মালেক ও খন্দকার তানভীর হোসাইন ডেটা প্লাটফরমটি ব্যবস্থাপনা করবেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিউট অফ রিমোট সেন্সিং এন্ড জিআইএস’র শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন