বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবির।
রোববার (৭ অক্টোবর) সকালে শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
রাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি আব্দুল মোহাইমেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক এবং রাবি শাখার সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান। এ ছাড়াও রাবি শাখার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আবরার ফাহাদ প্রতিবাদী চেতনার নাম উল্লেখ করে প্রধান অতিথি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন একটি প্রতিবাদী চেতনার নাম। দেশসেরা ক্যাম্পাসে পড়েও তিনি ছিলেন ধর্মপালনে প্রত্যয়ী একজন মানুষ। তাই তাকে ছাত্রলীগ পাশবিক কায়দায় নির্যাতন করে হত্যা করে। কিন্তু তাকে হত্যা করে বাংলাদেশি মুসলিম প্রতিবাদী সত্তাকে তারা বিনষ্ট করতে পারেনি।
আবরার ফাহাদকে জুলাই বিপ্লবের ভিত্তিস্থাপনকারী উল্লেখ করে সভাপতি আব্দুল মোহাইমেন বলেন, আবরার ফাহাদ একটি চেতনার নাম। তিনি ভারতীয় বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, ৫ বছর পর চব্বিশের বিপ্লবে এসে সেটি পূর্ণতা পেয়েছে। তার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। রক্তাক্ত জুলাইয়ে আবালবৃদ্ধবনিতা হাজার হাজার মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করে নতজানু, তাঁবেদার আওয়ামী সরকারকে টেনেহিঁচড়ে গদি থেকে নামিয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা মসনদ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই শহীদ আবরার ফাহাদকে বলা যায়, জুলাই বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপনকারী।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক ও ধর্মপরায়ণ জাতির এই মেধাবী সন্তানকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করেছে। শুধু আবরার ফাহাদ নয়, সারা দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং ইসলাম পালন করার কারণে অসংখ্য শিবির কর্মী এবং ধর্মপ্রাণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করে ছাত্রলীগ। তাই সময়ের দাবি, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা।
প্রসঙ্গত, আলোচনা শেষে আবরার ফাহাদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ হয়। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন