বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আয়োজনে শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে সংগঠনটির শাখা কার্যালয়ে আবরার ফাহাদের পঞ্চম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডিগনিটি : দ্য লিগ্যাসি অব আবরার ফাহাদ লিভস অন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার ফলে শিবির ট্যাগ দিয়ে ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগের রাতভর নির্যাতনে শহীদ হন আবরার ফাহাদ। দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে আমাদের এই জাতিকে নিঃশেষ করা হয়েছে। এর ফলেই আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ আজকের নতুন বাংলাদেশ। ধারাবাহিক অনেক ঘটনার মধ্য দিয়েই জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এর অন্যতম নায়ক শহীদ আবরার ফাহাদ।
ঢাবি শাখা সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদ। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, তারাই ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে যাদেরই আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরই বরণ করতে হয়েছে মৃত্যুর মতো নির্মম পরিণতি। আবরার ফাহাদ হত্যার দায় কেবল ওই ঘাতক দলেরই না। এই দায় তাদেরও যারা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকলেই নিপীড়ন করাকে বৈধতা দিয়েছিল।
এসময় তিনি আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পূর্বে বুয়েটে শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলামের ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, সেদিন কেউ প্রতিবাদ করেনি। এর ফলেই আবরার ফাহাদকে শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার বৈধতা তৈরি হয়ে যায়। কাজেই যারা শিবিরের ওপর নিপীড়নের ব্যাপারে নীরব ছিল তারাও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রশিবির ঢাবি শাখার অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে শহীদ আবরার ফাহাদসহ জুলাই বিপ্লবের সব শহীদ ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন