পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের এক নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জহির রায়হান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
ছাত্রলীগ নেতার বন্ধুদের অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৪টায় জহির রায়হান পরীক্ষা দিয়ে মেসে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশা ক্যালিকো কটন মিল এলাকায় গেলে সেখান থেকে তাকে মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। সেখানে তাকে মারধর করে।
তারা আরও জানান, তার বাসায় ফোন দিয়ে বিকাশে ১০ হাজার টাকা আনে এবং মোবাইল নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কারা মারধর করেছে তাদের চিনতে পারেনি জহির। তবে মারধরের সঙ্গে ক্যাম্পাসের কারো সংশ্লিষ্টতা আছে বলে আমাদের ধারণা।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হান বলেন, বিকেলে আমার সঙ্গে কী হয়েছে এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। এ নিয়ে আমি কিছু বললে ওরা আমার বড় ক্ষতি করবে। আমার জীবন এই মুহূর্তে হুমকির মুখে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছি।
এ ঘটনা পরে পাবনা সদর হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হানকে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যেই ঘটনা ঘটেছে সেটা মোটেও কাম্য নয়। তবে কারা ঘটিয়েছে জহির রায়হান আমাদের বলতে পারেনি। আমরা তাকে আগামীকাল লিখিত দেওয়ার জন্য বলেছি। লিখিত দিলে তদন্ত কমিটি করে দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তার নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
মন্তব্য করুন