জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জবির এক ক্যাফেটেরিয়া থেকেই ছাত্রলীগ ফাউ খেয়েছে ৭ লাখ টাকা

জবির এক ক্যাফেটেরিয়া থেকেই ছাত্রলীগের ফাউ খেয়েছে ৭ লাখ টাকা। ছবি : কালবেলা
জবির এক ক্যাফেটেরিয়া থেকেই ছাত্রলীগের ফাউ খেয়েছে ৭ লাখ টাকা। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি খেয়েছে ৭ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যানটিন থেকে ৭ লাখ টাকার মতো ফাউ খেয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর টাকা দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক, ক্যাম্পাসে আসেন না। ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানান, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ ছাড়াও বাকির হিসাবে রয়েছে ছাত্রলীগের আরও অন্তত পাচঁ নেতাকর্মীদের নামে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসানের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহসভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা। সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরো দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১হাজার টাকা। এ ছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই তার।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো.মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরও অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা দিত না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যানটিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার উপর এত টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এত টাকা এখন কীভাবে উঠাব আর কীভাবে আমি এই লস পূরণ করব? এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে কারণে মিরপুর থেকে সরে গেল এনসিএল

আইনজীবী হত্যায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুজনসহ অংশ নেয় ১৫ জন

জন্মস্থান সৈয়দপুর যাচ্ছেন বেবী নাজনীন

কাউকে আর রাষ্ট্র নিয়ে খেলা করতে দেওয়া হবে না : জেএসডি 

ফেসবুক লাইভে দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন রাফি

আন্দোলনে নিহত শ্রমিক দল নেতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

কাবাডি বিতর্কের মূলে ‘৮ কোটি’!

আ.লীগের ‘গুজব সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কালবেলার জাকির হোসেন

চীন সফরে গেলেন জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামি দলের নেতারা

১০

চুয়েটের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১১

পরীক্ষায় ফেল করায় বিয়ের পীড়িতে কিশোরী, বিয়ে ভাঙল প্রশাসন

১২

১৫ বছর পর সিলেটের রাজপথ দখলে নিল ছাত্রশিবির

১৩

আইইবি’র কার্যক্রম পরিচালনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা স্থগিত

১৪

হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারীর পরিচয়

১৫

নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রের মুখে নগদ টাকাসহ বিপুল স্বর্ণালংকার লুট

১৬

খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তাঁতী দলের

১৭

শিপিং ব্যবসা লাভজনক, ফলে আরও জাহাজ কিনবে বিএসসি

১৮

আ.লীগ নেতার পোষ্যপুত্র চোরাকারবারি আলফা কারাগারে

১৯

আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি ঐক্য পরিষদের

২০
X