রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অপসারণে একদিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি মানা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবন্থান নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ সংক্রান্ত কিছু প্রমাণ তারা গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। এছাড়াও ওনার অবহেলার কারণে সেশনজট এবং বিভাগের সভাপতি থাকাকালে উন্নয়ন তহবিলের নামে বিভাগের ফান্ড থেকে অর্থ সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, পূর্ব দৃষ্টান্তের নজির অনুযায়ী উদ্দেশ্যমূলক ফল বিপর্যয় ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে পক্ষপাতিত্ব অভিযোগের কারণে বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা নিজেদের সঠিক মূল্যায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীকে ক্লাসরুম, ভাইভা বোর্ডের সদস্য, এবং সেকেন্ড এক্সামিনার বা পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী হিসেবে প্রত্যাখ্যান করছি।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। শিক্ষকদের কারণেই সেশনজট হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ইমেজ খারাপ করার জন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভাগের অর্থ ব্যয়ে শুধু আমি একা না, অন্যান্য শিক্ষকও ছিল। আমি তো শুধু চেক স্বাক্ষর করেছি। আমি এর সঠিক তদন্ত চাই।
তিনি বলেন, এর আগেও শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। তদন্ত কমিটিও করা হয়েছিল এবং আমি মামলা করেছিলাম। এবারও আমি মামলা করব। প্রয়োজনে ফের তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সমাধান করা হোক।
বিভাগের বর্তমান সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকেও তাদের দাবির বিষয়ে জানিয়েছে। আমি ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ঘটনার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, এ বিষয়ে লিগ্যাল সেলের পরামর্শ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন