বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদের বাবা জিয়াউল হক বলেছেন, ‘সাজিদ ছিল একজন আদর্শ ছেলে।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিল চমৎকার। পরিবারের প্রতি কোনো চাওয়া ছিল না সাজিদের। নিজেই টিউশনি করে চলছে, পরিবারকেও সাহায্য করত। দ্রুত চাকরি খোঁজার আগ্রহ ছিল।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সাজিদের নিজ বিভাগ অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশ সিস্টেমে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সেখানেই ছেলেকে নিয়ে কথাগুলো বলেন সাজিদের বাবা জিয়াউল হক।
গত ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ। পরে ১৪ আগস্ট রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। বাবা, মা ও একমাত্র বোনের সঙ্গে মিরপুরে থাকতেন সাজিদ।
স্মরণ সভায় ইকরামুলের পরিবারের সদস্যদের কাছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
স্মরণ সভায় বিভাগের চেয়ারম্যান শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
ইকরামুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘সাজিদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। আন্দোলনে আরও যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাশেও আমরা সব সময় রয়েছি। আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য।’
এছাড়াও সভায় সাজিদের মা-বোন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মঞ্জুর মুর্শেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন