রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি : কালবেলা
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি : কালবেলা

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানিয়েছে তারা।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘উত্তরবঙ্গে বন্যা হলে বাংলাদেশ তুমি অন্ধ কেন’, ‘ত্রাণ নয় স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়ের দাবি’, ‘উত্তরবঙ্গ কী দেশের বাইরে?’, ‘বছর বছর ভাসতে চাই না, তিস্তার স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই’, ‘উত্তরে কান্না, চুপ কেন বাংলা?’, ‘দিল্লি না তিস্তা, তিস্তা তিস্তা’, ‘তিস্তার কান্না, আর না আর না’ ইত্যাদি স্লোগান ও লেখা সংবলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আলমগীর বলেন, ‘খরার সময় আমরা পানি পাই না আবার বন্যার সময় হাজার হাজার একর জমি বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। যখনই বন্যা হয় তখনই শুধুমাত্র সাময়িক ত্রাণ দিয়ে আমাদের সান্ত্বনা দেওয়া হয়। জাতীয় বাজেটেও উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করা হয়। আমরা এ ধরনের বৈষম্য চাই না। আমরা অতি দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই। আমরা ত্রাণ না, বাঁচতে চাই।’

আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এম এ ইউসুফ আলী বলেন, আমরা ত্রাণ চাইতে রাস্তায় দাঁড়াইনি, আমরা এসেছি তিস্তা পাড়ের মানুষের অধিকারের জন্যে। আমরা আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য অধিকার চাই। পাশাপাশি নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হোক। এ অঞ্চলের মানুষের যেন পুনরায় পানিতে ভাসতে না হয় এবং এভাবে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় না দাঁড়াতে হয়, সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘ভারত গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে তিস্তাসহ আশপাশের অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই অঞ্চলের মানুষেরা জীবনযাপনের যে ন্যূনতম অধিকার, সেটি ভোগ করতে পারছেন না। বাংলাদেশে একটা সিস্টেম চালু আছে, সবকিছু কেন্দ্রীভূত। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য যদি উত্তরবঙ্গকে বাদ দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে কোনো অবস্থাতেই উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারবেন না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় আ. লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন / চাকরি স্থায়ী না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ মিছিল

‘মায়ের ডাক’র তুলির ভাইকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে আইএসপিআরের বিবৃতি

পানির ওপর ৩৩ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে বিশ্বরেকর্ড করলেন যুবক!

সকালের মধ্যেই ১৬ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

বিল বকেয়া, চসিক হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন / সাজিদের স্মরণ সভায় বাবা, সাজিদ ছিল একজন আদর্শ ছেলে

অন্যায় করলে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই : যুবদল সভাপতি

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যেভাবে কাজ করে

১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামি বক্তা তাহেরীর গাড়িতে হামলা

১১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার বিভাগের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন

১২

নির্দেশ অমান্যকারীরা দলের লোক নয় : নয়ন

১৩

নেতাকর্মীদের প্রতি যুবদলের নির্দেশনা

১৪

‘আগস্ট বিপ্লবের শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান’

১৫

মানিকগঞ্জে ৯ মাসে কমেছে ৯৭ হেক্টর ফসলি জমি

১৬

মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বিলুপ্ত 

১৭

হাজার হাজার বছর পরও কেন পচে না ফেরাউনের লাশ?

১৮

দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান

১৯

পথশিশুদের পুনর্বাসনের দাবি লায়ন ফারুকের

২০
X