দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে শুরু করে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের খোঁজ খবর নেন।
পরিদর্শনকালে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য আরো বাস কেনা হবে এবং চলাচলের রুট বাড়ানো হবে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, অচিরেই শ্রেণিকক্ষের সংকট নিরসনে চারতলা একাডেমিক ভবনগুলোকে বাড়িয়ে ছয়তলায় রুপান্তরিত করা হবে। এতে কিছুটা হলেও শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসন হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট ও সমস্যা নিরসন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপাচার্য আরো বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় নেতিবাচকভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছে। আর যেন নেতিবাচক খবর না হয় সেই বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। সংকট কাটিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
দীর্ঘদিন বন্ধের পর ক্যাম্পাসে ফিরে শিক্ষার্থীরাও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেক শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর ১৭ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ট্রেজারারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে অন্তত ৪০ জন পদত্যাগ করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। নবনিযুক্ত উপাচার্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার ঘোষণা দেন। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং রোববার থেকে একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়।
মন্তব্য করুন