ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৫০৩তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, মেধার যথাযথ বিকাশ-মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করার মানসে সর্বোপরি রাজনীতির লেজুড়বৃত্তায়ন নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্সের বোর্ড অব রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিনের ১৬-নং ধারার আলোকে গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৫০৩তম জরুরি সভায় ছাত্ররাজনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোন ক্লাব বা সোসাইটি ব্যতীত কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি অথবা অন্য যে কোন সংগঠনের সাথে জড়িত হতে পারবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীগণকে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের নিয়মসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং তা অমান্য করলে অধ্যাদেশে বর্ণিত নিয়ম মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বুয়েটে রাজনীতিতে সম্পৃক্তদের ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা যাতে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার তারা কোনো ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নেননি। এদিন বিকেলে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। হল থেকে এখনো ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কার করা হয়নি। তাদের অভিযোগ, হল ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করছে। গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগকে সহায়তাকারী অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তীব্র ক্ষোভ থেকে ওইদিন মধ্যরাতেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
এরও আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, রাজনীতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পর্যায়ে একটা আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি এখনো। সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন